ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ২১৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি প্রদান করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বিএনপি যদি তথাকথিত আন্দোলনের নামে এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং আবারও ২০১৩-১৪-১৫ ও ২০১৮ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড সংঘটিত করতে চায় তাহলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পবিত্র সংবিধান হলো দেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষা কবচ। সংবিধান অনুযায়ীই এদেশের সকল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধ ুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে এবং যথা সময়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ চিরাচরিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পর তারা এখন অতীতের মতো নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়েও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন, অথচ বিএনপি’ই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এবং পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপি বার বার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বুঝতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এখন একটি ডেড ইস্যু এবং পাষ্ট এন্ড ক্লোজ চ্যাপ্টার। জল বহু দূর গড়িয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সেই একই জায়গায় হাবুডুবু খেতে থাকলে বিএনপিকে গভীর জলে ডুবে মরতে হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নৌকা বহুদূর এগিয়ে গেছে, তাতে উঠতে হলে অনেকটা পথ সাঁতরে পাড়ি দিতে হবে। এখনও সময় আছে, বিএনপিকে সংবিধান ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঠিক ধারায় পথ চলার।

কাদের বলেন, দেশবাসী ভুলে যায়নি, ১৯৯১-এর নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন হয়ে বিএনপি জাতির সাথে প্রতারণা করেছে এবং তিন জোটের রূপরেখাকে পদদলিত করে নতুন পোশাকে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার আবির্ভাব ঘটায়। মিরপুর, মাগুরা ও বগুড়াসহ জাতীয় সংসদের কয়েকটি আসনের উপ-নির্বাচন এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি তখন ভোট ডাকাতির ভয়াবহ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে

আপডেট টাইম : ০৭:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি প্রদান করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বিএনপি যদি তথাকথিত আন্দোলনের নামে এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং আবারও ২০১৩-১৪-১৫ ও ২০১৮ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড সংঘটিত করতে চায় তাহলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পবিত্র সংবিধান হলো দেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষা কবচ। সংবিধান অনুযায়ীই এদেশের সকল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধ ুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে এবং যথা সময়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ চিরাচরিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পর তারা এখন অতীতের মতো নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়েও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন, অথচ বিএনপি’ই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এবং পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপি বার বার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বুঝতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এখন একটি ডেড ইস্যু এবং পাষ্ট এন্ড ক্লোজ চ্যাপ্টার। জল বহু দূর গড়িয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সেই একই জায়গায় হাবুডুবু খেতে থাকলে বিএনপিকে গভীর জলে ডুবে মরতে হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নৌকা বহুদূর এগিয়ে গেছে, তাতে উঠতে হলে অনেকটা পথ সাঁতরে পাড়ি দিতে হবে। এখনও সময় আছে, বিএনপিকে সংবিধান ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঠিক ধারায় পথ চলার।

কাদের বলেন, দেশবাসী ভুলে যায়নি, ১৯৯১-এর নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন হয়ে বিএনপি জাতির সাথে প্রতারণা করেছে এবং তিন জোটের রূপরেখাকে পদদলিত করে নতুন পোশাকে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার আবির্ভাব ঘটায়। মিরপুর, মাগুরা ও বগুড়াসহ জাতীয় সংসদের কয়েকটি আসনের উপ-নির্বাচন এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি তখন ভোট ডাকাতির ভয়াবহ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।